প্রকাশিত: Thu, Nov 9, 2023 11:08 PM
আপডেট: Sat, Jul 5, 2025 3:10 AM

[১]হামাসের প্রচণ্ড প্রতিরোধে ধ্বংস ইসরায়েলের ১৩৬ সামরিক যান [২]গাজায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের মার্কিন প্রস্তাব মিসরের প্রত্যাখান

 সাজ্জাদুল ইসলাম: [৩] গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা ও তান্ডব বৃহস্পতিবার   ৩৩তম দিনেও অব্যাহত ছিল। এদিনও আশশিফা হাসপাতালের কাছে প্রচন্ড হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-জাজিরা, আনাদোলু, বিবিসি

[৪] বুধবার রাতে ইসরায়েলের প্রচন্ড বোমা হামলায় উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং পশ্চিমাঞ্চলের সাবরা এলাকায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। 

[৫] ইসরায়েলি বাহিনী গত তিন দিনে ৮টি হাসপাতালেও ওপর হামলা চালিয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজার ১৮টি হাসপাতাল অচল হয়ে পড়েছে। গাজার মিডিয়া দপ্তর একথা জানায়। 

[৬] গাজায় এখনও চালু আছে এমন কয়েকটি বড় হাসপাতালের একটি হল আশ-শিফা। এ হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী একের পর হামলা চালিয়ে যাচেছ। গাজা সিটির উত্তরের রেমাল এলাকায় এটি অবস্থিত। 

[৭] অবিরাম ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মারাত্মক পানির সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামান্য একটু পানির জন্য লোকদের দীর্ঘ সারিতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

[৮] আল-কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, গাজা সিটির গভীরে প্রবেশের জন্য চেষ্টারত ইসরায়েলি স্থলবাহিনীকে তাদের যোদ্ধারা প্রতিরোধ করে চলেছেন। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড লড়াই চলছে। আল-কাসাম বিগ্রেডস স্থল হামলা শুরুর পর ১৩৬ ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করেছে। 

[৯] গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই এবং ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে হাজার হাজার লোক বহু মাইল পায়ে হেঁটে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

[১০] সিআইএর প্রধান মধ্যপ্রাচ্য সফর অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সংখ্যক জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চেষ্টায় কিছুটা গতি সঞ্চারিত হয়েছে। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ইউলিয়াম লরেন্স আল-জাজিরা বলেছেন, জিম্মি সংকট নিরসনের বিষয়টি সঠিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, ১০ থেকে ১৫ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে।

[১১] বার্নস প্রথমে ইসরায়েলে যান। এরপর তিনি মিসর ও কাতার সফর করেন। গাজায় আটক জিম্মি মুক্তির আলোচনায় কাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

[১২] ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার দায়িত্ব গ্রহণ করার পূর্ব পর্যন্ত গাজার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছে মিসর তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সিআইএ পরিচালক বার্নসের সঙ্গে বৈঠকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি মার্কিন প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন। 

[১৩] হামাসকে নির্মূল করার ক্ষেত্রে মিসরের কোন ভূমিকা পালনের বিষয়ও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। সিসি বলেছেন, মিসর-গাজা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য তাদের হামাসের প্রয়োজন। সম্পাদনা: ইকবাল খান